Notice Board Please Click to view Class Routine Please Click to view Gallery Please Click to view Result Please Click to view
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বাণী
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত বগুড়া’র ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া এতদঞ্চল তথা বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সুনাগরিক তৈরীর একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসাবে এ প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অনলাইনে প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ শিক্ষালয় তার আপন পরিচয়কে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির চলমান ও বিশ্বের ছন্দে তাল মিলিয়ে বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়াও ক্রমশঃ অগ্রসরমান।
সময়োপযোগী বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনের প্রত্যয়দ্বীপ্ত সূচনাকে আমি স্বাগত জানাই-জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিরপথে এ নবযাত্রায় বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া’র প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক মন্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য রইল শুভ কামনা। আল্লাহ হাফেজ।
জনাব হোসনা আফরোজা
সভাপতি
বগুড়া জিলা স্কুল পরিচালনা পরিষদ
ও
জেলা প্রশাসক,বগুড়া
প্রধান শিক্ষকের বাণী
আলহাম-দু-লিল্লাহ। অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর- বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে উত্তর বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠ- বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়াও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির হাইওয়ে ধরে ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করেছে। এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ বিনিময় অধিকতর সহজ ও সুলভ করে এই বিদ্যাপীঠ ও এর কার্যক্রমের তথ্যাবলি শিক্ষক- শিক্ষার্থী- অভিভাবক, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর এবং অন্যান্য সরকারি/বেসরকারি অফিসসহ সকলের নাগালে দ্রুত পৌঁছে দে’য়াই আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা তথা সুন্দর একটি সমাজ- রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের ব্রত। ওয়েব সাইটটি বর্তমান সরকারের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি ও উন্নত করবে- এ লক্ষে ওয়েব সাইটটি যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। সর্বশেষে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কলা-কুশলীদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
জনাব তহমিনা বেগম
প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত)
বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া
সংক্ষেপে বিদ্যালয় পরিচিতি
বগুড়া জিলা স্কুল বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় অবস্থিত। স্কুলের পূর্ব পাশে সার্কিট হাউস এবং দক্ষিণ পাশে আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ অবস্থিত। স্কুলের সামনেই উত্তরপার্শ্বে কেন্দ্রীয় জেলা পোস্ট অফিস। উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়া, আর বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় অবস্থিত “বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া”। স্ব-নামোজ্জ্বল, স্ব-মহিমায় ভাস্বর, ঐতিহ্যমন্ডিত ফুলের বাগান স্বরূপ এই বিদ্যাপীঠটি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ গঠন ও তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বগুড়াবাসী এই বিদ্যালয়কে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিল তা যথাযথ ভাবে পালনের মাধ্যমে আজও সে প্রতিরোধ্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে শ্রেষ্ঠত্ত্বের যে মণিমুকুট তার মাথায় শোভিত হয়েছিল আজ অবধি সেই মুকুট উজ্জ্বল, অম্লান, অমলিন। আজও সে মুকুট থেকে বেরিয়ে আসছে মহা সম্মান এবং সাফল্যের দ্যূতি ও ঝলক।
“কোন এক বিদ্যাপিঠের কথা তোমায় শোনাই শোন রূপকথা নয় সে নয়, জন্মের শুরু থেকে জ্ঞানীজনের হাতে গড়া ও তার শীর্ষে উঠারকাহিনী শোনাই শোন”।১৮৪৪ সালে ইংরেজ প্রশাসক লর্ড হার্ডিঞ্জ যখন ইংরেজি শিক্ষাকে গুরুত্ব সহকারে অগ্রাধিকার দেন তখন সেই ইংরেজি শিক্ষার জোয়ার স্পর্শ করে বরেন্দ্র ভূমিকে, স্পর্শ করল বগুড়াকেও। তাই ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে বগুড়ায় জন সাধারণ কর্তৃক পরিচালিত একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা ছিল বর্তমান জিলা স্কুলের ভ্রুনমূল এই ভ্রুণমূল নামক এই বিদ্যালয়কে ঐ সালেই বিদ্যোৎসাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর মিঃ রাসেল সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তদানীন্তন ডেপুটি কালেক্টর বাবু সূর্য্য কুমার মুখোপাধ্যায় -এর অশেষ পরিশ্রমে গভর্নমেন্ট –এর তত্ত্বাবধানে আনেন এবং “BOGRA GOVERNMENT HIGH ENGLISH SCHOOL” নামে আখ্যায়িত করেন। এই বিদ্যালয়টি গভর্নমেন্ট হওয়ার সাথে সাথেই তীব্র গতিতে উন্নতির পথে ধাবিত হতে থাকে এবং বাবু ভগবতী চরন ঘোষ মহাশয় -এর প্রথম হেড মাস্টার হন। এর পর পদ্মা মেঘনা ও যমুনায় বহু পানি বয়ে গেছে। বদলী হয়েছেন এই বিদ্যালয় অঘোর চন্দ্র সহ বহু প্রধান শিক্ষক। পরিশেষে ১৮৬৫ সালে BOGRA GOVERNMENT HIGH ENGLISH SCHOOL -এর নাম পরিবর্তন করে শুধু BOGRA ZILLA SCHOOL নাম রাখা হয় আর এই মাহেন্দ্রক্ষণে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু পার্বতিচরন রায় (বি. এ.)। ১৮৭৩-৭৪ সালে এই স্কুল গৃহটি তথা বিদ্যালয়টি সুত্রাপুরের “ব্রহ্ম সমাজ মন্দিরের কাছে অবস্থিত ছিল। পরবর্তীতে ১৮৮১-৮৫ খ্রিস্টাব্দে এটি বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং ঐ অব্দেই আগত প্রধান শিক্ষক বাবু গিরিশ চন্দ্র মিত্র (জে. সি. মিত্র) -এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্কুল গৃহটি ইটের তৈরী পাকা বিল্ডিং এ নির্মিত হয়। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে লেঃ গভর্নর স্যার রিভার থমসন এর নামে বিদ্যালয়ের উত্তর পশ্চিম কোনে (সাতমাথার কোল ঘেঁষে) একটি থিয়েটার হল নির্মান করেন যা কাল ক্রমে বিদ্যালয়ের পাঠাগারে রূপান্তরিত হয়। সুন্দর কারুকার্য খচিত এই পাঠাগারটি আজও শিক্ষার্থীদের হৃদয় স্পন্দন হিসাবে কাজ করছে। এর ছাত্র সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে ১৯১৯ সালে এই বিদ্যালয়ে একটি দ্বি-তল ছাত্রাবাস নির্মিত হয়। এতে হিন্দু মুসলমান ছাত্ররা ভাই ভাই এর মত একত্রে বসবাস করত। কিন্তু রান্না ও খাওয়া দাওয়ার জন্য পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন ডাইনিং ছিল। তৎকালীন এক অভিজ্ঞ সুপারিনটেনডেন্ট সাহেবের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও কর্ম প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সু-শৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে পারিবারিক আনন্দ উপভোগ করে বসবাস করত ও পাঠ অভ্যাস করতে সক্ষম হত। পাকিস্তান আমলে এই ছাত্রাবাসের নাম ছিল “মুসলিম ছাত্রাবাস” কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে -এর নাম রাখা হয ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ স্কুলের ছাত্র দোলনের নামানুসারে “শহিদ দোলন ছাত্রাবাস”। ১৯৯০ দশকের শেষ দিকে গণপূর্ত বিভাগ এই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষনা করলে ধীরে ধীরে তা ছাত্র শূণ্য হয়ে পড়ে এবং ১৯৯৯ সালে ব্যবহারের অনুপযোগী হলে ডাইনিং হল ২ টি ভেঙ্গে তদস্থলে চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। আর পরবর্তীতে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্¡াবধানে বিপুল অর্থ ব্যয় করে ঐতিহাসিক ছাত্রাবাসটি মেরামত করে বসবাসের উপয়োগী করা হয়। এই ছাত্রাবাসের নীচের ২ টি কক্ষ বর্তমানে টিফিনরুম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এতে ২০০৪ জন ছাত্র ৫০ জন শিক্ষক এবং ১৫ জন কর্মচারির মোট ২০৬৯ জন মানুষের টিফিন তৈরি ও বিতরণ করা হচ্ছে।